যোগাযোগ করো, তোমার পাশে আমরা।
যোগাযোগ করো, তোমার পাশে আমরা।
সরাসরি কথা বলতে "কল করো" বাটনে প্রেস করো সকাল ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত।
কল করো

মাগুরা জেলা | Magura District

Created by I Education in ৬৪ জেলা 11 Mar 2025
Share

মাগুরা, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগে অবস্থিত, রসমালাই, মধুমতি নদী, সাকিব আল হাসান এবং প্রথম নিরক্ষরমুক্ত হিসেবে অধিক পরিচিত একটি জেলা।

মাগুরার নামকরণ করা হয় মুঘল যুগে। কুমার নদী ও নবগঙ্গার তীরে অবস্থিত বর্তমান মাগুরা শহরে ছিল মগদের আখড়া। নদী পথে তারা বর্গীদের মতো দস্যুপনা করতো। তাদের নামেই মগরা থেকে মাগুরা নামের উৎপত্তি হয়েছে।

১৮৫৬-৬০ সালের নীল অভ্যুত্থানও হয় মাগুরার সদর উপজেলার হাজরাপুরে নীলকুঠিকে কেন্দ্র করে। 

কোন কোন ঐতিহাসিকের মতে মুঘল নবাব মুর্শিদকুলী খার আমলে মগদের অগ্রযাত্রাকে যেখানে প্রতিহত করে ঘুরিয়ে দেওয়া হত সেই স্থানটির নাম রাখা হত মগ-ঘুরা। যার ফলে মগ-ঘুরাই পরবর্তীতে মাগুরা হয়েছে।

মুলত মগ জলদস্যুদের হাত থেকে এ জেলার উত্তরাঞ্চলের জন সাধারণকে রক্ষা করার জন্যই ১৮৪৫ সালে যশোর জেলার প্রথম মহকুমা করা হয় মাগুরাকে। মহকুমা গঠন করার পর প্রথম মহকুমা অফিসার হিসেবে আসেন মিঃ ককবার্গ। মহকুমা হবার আগে মাগুরা অঞ্চল ভূষণা ও মহম্মদপুর নামেই সুবিখ্যাত ছিল। পাল রাজত্বের সময় এ অঞ্চলের উত্তর ও উত্তর পূর্ব অংশ শ্রীপুর ও রাজাপুর এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব অংশ ভূষনা নামে পরিচিত ছিলো। পরবর্তীতে দেশ স্বাধীন হবার পর প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের অংশ হিসাবে মাগুরাকে ১৯৮৪ সালে মহকুমা থেকে জেলায় উন্নীত করে প্রথম ডেপুটি কমিশনার নিয়োগ করা হয় অরবিন্দু করকে। 

এ জেলার উত্তরে রাজবাড়ী জেলা, দক্ষিণে যশোর ও নড়াইল জেলা, পূর্বে ফরিদপুর জেলা এবং পশ্চিমে ঝিনাইদহ জেলা  অবস্থিত। মাগুরা জেলার আয়তন ১০৪৮ বর্গ কিমি এবং সড়ক পথে ঢাকা থেকে মাগুরার দূরত্ব ১৬৮.৫ কিলোমিটার।

মাগুরা জেলা মোট ৪টি থানা ও উপজেলা নিয়ে গঠিত যেগুলো হলো 

মাগুরা সদর, শ্রীপুর, শালিখা, ও মহম্মদপুর উপজেলা। 

এছাড়াও এ জেলায় ২টি সংসদীয় আসন রয়েছে এবং এগুলো হলো সংসদীয় আসন ৯১ এবং ৯২। 

এ জেলায় যেসব নদ-নদী আছে তার মধ্যে হলোঃ গড়াই নদী, নবগঙ্গা নদী, ফটকি নদী, মধুমতি নদী, কুমার নদ, চিত্রা নদী, ভৈরব নদী, সিরাজপুর হাওর এবং বেগবতী নদী।

মাগুরার ঐতিহ্যবাহী খেলার মধ্যে ঘোরদৌড় প্রতিযোগিতা অন্যতম। এ জেলার মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালীতে ১৬ই মাঘ শতবর্ষেরও অধিক পুরাতন এতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে। 

মাগুরার ঐতিহ্যবাহী এবং উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: 

মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়

মাগুরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ

মাগুরা মেডিকেল কলেজ


এ জেলার দর্শনীয় স্থানের মধ্যে আছেঃ

গড়াই সেতু বা কামারখালী সেতু 

পীর হযরত গরীব শাহ (রা) এর মাজার শরীফ

কবি ফররুখ আহমদ এর বাসস্থান

বড়াল রাজার বাড়ির ধ্বংসাবশেষ

রাজা সীতারাম রায়ের প্রাসাদ-দুর্গ

শ্রীপুর জমিদার বাড়ি

কবি কাজী কাদের নেওয়াজ এর বাড়ী

বিড়াট রাজার বাড়ী

তালখড়ি জমিদার বাড়ি

পীর তোয়াজউদ্দিন -এর মাজার ও দরবার শরীফ

চন্ডীদাস ও রজকিনীর ঐতিহাসিক ঘাট

সিদ্ধেশ্বরী মঠ

ছান্দড়া জমিদার বাড়ি

কাদিরপাড়া জমিদার বাড়ি


এ জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে আছেঃ

কবি ফররুখ আহমদ

সাকিব আল হাসান, ক্রিকেটার

অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান

কবি কাজী কাদের নেওয়াজ

কাজী রওশন আক্তার:-সরকারি কর্মকর্তা।

সাহিত্যিক মোহাম্মদ লুৎফর রহমান

সঙ্গিতঙ্গ মুন্সী রইসউদ্দিন

চিত্রশিল্পী মুস্তফা মনোয়ার

ফাহিমা খাতুন- ক্রিকেটার।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড প্রাপ্ত মাহমুদুল হাসান ফয়সাল

এ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন- ক্যাবিনেট মন্ত্রী

শ্রী বিরেন শিকদার - সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

মেজর জেনারেল (অবঃ) মজিদ-উল-হক, সামরিক কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদ

নিতাই রায় চৌধুরী- সাবেক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী

মেজর জেনারেল (অবঃ) এ টি এম ‍আব্দুল ওয়াহাব- রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়্যারম্যান

কাজী সালিমুল হক কামাল- ইকোনো গ্রুপ ও জিকিউ গ্রুপের চেয়ারম্যান।

নিমাই ভট্টাচার্য- সাহিত্যিক

গঙ্গাধর সেন রায়- আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ও সংস্কৃত পণ্ডিত

বনানী চৌধুরী- বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম মুসলিম অভিনেত্রী

দিদার ইসলাম- কুইক রেডিওর আবিস্কারক

আব্দুল হালিম গিনেস- ওয়ার্ল্ড রেকর্ড প্রাপ্ত


এ জেলা থেকে যেসকল পত্রিকা প্রকাশিত হয় তাদের মধ্যে আছে: দৈনিক খেদমত, মাগুরা বার্তা, মাগুরা নিউজ 

মাগুরা জেলা সম্পর্কে আপনার কোন মন্তব্য থাকলে জানান কমেন্টে আর শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন মাগুরা জেলাকে।


Comments (0)

Share

Share this post with others