বাগেরহাট জেলা | Bagerhat District | iEducation
বাগেরহাট, ষাট গম্বুজ মসজিদ ও হযরত খানজাহান আলী (রঃ) এর জন্য বেশি পরিচিত, বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের খুলনা বিভাগের একটি জেলা। উপজেলার সংখ্যা বিবেচনায় বাগেরহাট বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণীভুক্ত জেলা।
বাগেরহাট জেলার উত্তরে গোপালগঞ্জ ও নড়াইল জেলা, পশ্চিমে খুলনা জেলা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং পূর্বে পিরোজপুর ও বরগুনা জেলা অবস্থিত। এ জেলার আয়তন ৫৮৮২.১৮ বর্গকিলোমিটার; এবং ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ১৭৫ কিলোমিটার।
বাগেরহাট জেলা সদরের অধিকাংশ ভৈরব নদীর পশ্চিম তীরে এবং শহরের বর্ধিত অংশ ভৈরবের দক্ষিণ প্রবাহ দড়াটানার পশ্চিম তীরে অবস্থিত।
বাগেরহাট জেলার নামকরন সম্পর্কে যতদূর জানা যায় তা হলো:
বাগেরহাটের নিকটবর্তী সুন্দরবন থাকায় এলাকাটিতে বাঘের উপদ্রব ছিল, এ জন্যে এ এলাকার নাম হয়ত ‘‘বাঘেরহাট’’ হয়েছিল এবং ক্রমান্বয়ে তা বাগেরহাট-এ রূপান্তরিত হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা | Bagerhat District | iEducation
মতান্তরে হযরত খান জাহান আলী এর প্রতিষ্ঠিত ‘‘খলিফাত-ই-আবাদ’’ এর বিখ্যাত ‘‘বাগ’’ অর্থ বাগান, এ অঞ্চলে এতই সমৃদ্ধি লাভ করে যে, তা থেকেই হয়ে দাঁড়িয়েছে বাগের আবাদ তথা ‘‘ বাগেরহাট’’।
তবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মতটি হচ্ছে শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদীর উত্তর দিকের হাড়িখালী থেকে বর্তমান নাগের বাজার পর্যন্ত যে লম্বা বাঁক অবস্থিত, পূর্বে সে বাঁকের পুরাতন বাজার এলাকায় একটি হাট বসত। আর এ হাটের নামে এ স্থানটির নাম হয় বাঁকেরহাট। কালক্রমে বাঁকেরহাট পরিবর্তিত হয়ে দাঁড়িয়েছে বাগেরহাট নামে।
বাগেরহাট জেলায় ০৩ টি পৌরসভা, ৯৫-৯৮ পর্যন্ত মোট ৪টি সংসদীয় আসন, ৯ টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হলো:
কচুয়া, চিতলমারী, ফকিরহাট, বাগেরহাট সদর, মোংলা, মোড়েলগঞ্জ, মোল্লাহাট, রামপাল, শরণখোলা উপজেলা।
বাগেরহাট জেলায় আছে বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তম এবং ২য় ব্যস্ততম সমুদ্র বন্দর যেটি মংলা সমূদ্র বন্দর নামে পরিচিত। খান জাহান আলী বিমানবন্দর নামে একটি প্রস্তাবিত বিমানবন্দরে কাজও চলমান রয়েছে।
বাগেরহাট জেলা | Bagerhat District | iEducation
বাগেরহাট জেলার মানুষ প্রধানত কৃষি নির্ভর। এ অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে নারিকেল ও সুপারি জন্মে। ধান, মাছ ও বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনীতির প্রধান উৎস। এছাড়াও সুন্দরবন উপকূলের কিছু মানুষ মধু ও গোলপাতা সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করে।
এ জেলায় অনেকগুলো নদ-নদী রয়েছে যার মধ্যে আছে:
মধুমতি, পশুর, হরিণঘাটা, পানগুছি, মোংলা, বলেশ্বর নদী ইত্যাদি।
এ জেলার উল্লেখযোগ্য কিছু স্থানের মধ্যে আছে:
হযরত খানজাহান আলী (রঃ) এর মাজার
ষাট গম্বুজ মসজিদ
খাঞ্জেলী দীঘি
সিংগাইর মসজিদ
নয়গম্বুজ মসজিদ
সাবেকডাঙ্গা পূরাকীর্তি
জিন্দাপীর মসজিদ
চন্দ্রমহল
বাগেরহাট জেলা | Bagerhat District | iEducation
অযোধ্যা মঠ / কোদলা মঠ
বাগেরহাট জাদুঘর
দশগম্বুজ মসজিদ
একগম্বুজ মসজিদ
চুনখোলা মসজিদ
বিবি বেগনি মসজিদ
খানজাহান (রহঃ) নির্মিত প্রাচীন রাস্তা
খানজাহান (রঃ) এর বসত ভিটা
রণবিজয়পুর মসজিদ
সুন্দরবন
করমজল
হাড়বাড়িয়া ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্র
কটকা অভয়ারণ্য
কচিখালি
দুবলার চর ইত্যাদি
বাগেরহাট জেলা | Bagerhat District | iEducation
এ জেলার কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন:
আবদুল জাব্বার জাহানাবাদী- বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব
মতিউর রহমান মল্লিক - কবি ও সাহিত্যিক
রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ- কবি
নীলিমা ইব্রাহিম - সাহিত্যিক
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ - সাহিত্যিক, সংগঠক
মোহাম্মদ রফিক - কবি
আবুল হোসেন - কবি
মোহাম্মদ মোহর আলী - ইতিহাসবেত্তা
স্বরোচিষ সরকার - আভিধানিক ও বৈয়াকরণ
শেখ আবদুল আজিজ - প্রাক্তন যোগাযোগ, কৃষি, তথ্য এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী
রুবেল হোসেন - ক্রিকেট (খেলোয়াড়)
আব্দুর রাজ্জাক - (সাবেক ক্রিকেট খেলোয়াড়)
জুপিটার ঘোষ - ক্রিকেট (খেলোয়াড়)
হেমায়েত মোল্লা - ক্যারম (খেলোয়াড়) ইত্যাদি।
এ জেলা থেকে বিভিন্ন ধরনের পত্র-পত্রিকা প্রকাশিত হয় যার মধ্যে আছে: বাগেরহাট দর্পন , বাগেরহাট বার্তা, বাগেরহাট ইনফো, বাগেরহাটে নিউজ ইত্যাদি।
বাগেরহাট জেলা | Bagerhat District | iEducation