যোগাযোগ করো, তোমার পাশে আমরা।
যোগাযোগ করো, তোমার পাশে আমরা।
সরাসরি কথা বলতে "কল করো" বাটনে প্রেস করো সকাল ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত।
কল করো

বগুড়া জেলা | Bagura District

Created by I Education in ৬৪ জেলা 8 Mar 2025
Share

বগুড়া পুন্ড্রনগর এবং দইয়ের জন্য বিখ্যাত এ জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত। উপজেলার সংখ্যানুসারে বগুড়া বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণীভুক্ত জেলা।

বগুড়া জেলার নামকরন সম্পর্কে যতদূর জানা যায় তা হলো:

সুলতান গিয়াস উদ্দিন বলবনের পুত্র সুলতান নাসির উদ্দিন বগড়া ১,২৭৯ থেকে ১,২৮২ সাল পর্যন্ত এ অঞ্চলের শাসক ছিলেন। তার নামানুসারে এ অঞ্চলের নাম হয়েছিল বগড়া । ইংরেজি উচ্চারন 'বগড়া' হলেও বাংলায় কালের বিবর্তনে নামটি পরিবর্তিত হয়ে 'বগুড়া' শব্দে পরিচিতি পেয়েছে।  ২০১৮ সালে ২রা এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) বৈঠকে বগুড়ার ইংরেজি নাম Bogura করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যদিও বগুড়া জেলা ১৮২১ সালে জেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। 

বগুড়ার উত্তরে গাইবান্ধা ও জয়পুরহাট, উত্তর পশ্চিমে জয়পুরহাটের অংশবিশেষ,পশ্চিম ও দক্ষিণ পশ্চিমে নওগাঁ, দক্ষিণে নাটোর ও সিরাজগঞ্জের অংশবিশেষ এবং দক্ষিণ পূর্বে সিরাজগঞ্জের অবশিষ্ট অংশ বিদ্যমান। বগুড়ার পূর্বে জামালপুর থাকলেও এর স্থলভাগ সংযুক্তভাবে অবস্থিত নয়।

বগুড়াকে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বলা হয়। ঢাকার সাথে এ জেলার আকাশপথে সড়কপথে ও রেলপথে যোগাযোগ সম্ভব। যদিও বিমান বন্দরটি বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষনের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। 

 বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে এক ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন জনপদ গড়ে উঠেছিল এই বগুড়ায়। প্রাচীন পুণ্ড্র রাজ্যের রাজধানী পুণ্ড্রবর্ধনের বর্তমান নাম মহাস্থানগড়, যা বগুড়া জেলায় অবস্থিত এবং এটি একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হিসেবে পরিচিত। বগুড়াকে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বলা হয়। এছাড়াও বগুড়া শিক্ষানগরী নামে পরিচিত৷

বগুড়া ভৌগোলিকভাবে ভূমিকম্পের বিপজ্জনক বলয়ে অবস্থিত। তাছাড়া বগুড়া জেলা বরেন্দ্রভূমির অংশবিশেষ যা ধূসর ও লাল বর্ণের মাটির পরিচিতির জন্য উল্লেখ্য।

বগুড়া জেলায় ১২০ টি বড় শিল্প কারখানা রয়েছে যা দেশের কৃষি যন্ত্রপাতির বার্ষিক চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশ পূরণ করে এবং এর  আর্থিক মূল্য প্রায় এক হাজার কোটি টাকা।

বগুড়া জেলায় বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী উৎসবের আয়োজন করা হয়ে থাকে যার মধ্যে আছে: 

পোড়াদহ মেলা

কেল্লাপোষী মেলা

উত্তরবঙ্গের ১৬ টি জেলার মধ্য জনসংখ্যায় বৃহত্তম জেলা হচ্ছে বগুড়া। জেলায় উপজেলার সংখ্যা মোট ১২ টি। পৌরসভার সংখ্যা ১২ টি

বগুড়া জেলার উপজেলা গুলি হল -

শাজাহানপুর উপজেলা

আদমদিঘী উপজেলা

বগুড়া সদর উপজেলা

ধুনট উপজেলা

দুপচাঁচিয়া উপজেলা

গাবতলী উপজেলা

কাহালু উপজেলা

নন্দীগ্রাম উপজেলা

সারিয়াকান্দি উপজেলা

শেরপুর উপজেলা

শিবগঞ্জ উপজেলা, বগুড়া

সোনাতলা উপজেলা

 বগুড়া জেলার সংসদীয় আসন ৩৬ থেকে ৪২ পর্যন্ত মোট ৭টি। 

এ জেলায় রয়েছে উত্তরবঙ্গের ১ম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি (রংপুর রোড,গোকুল,বগুড়া)। এছাড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অত্র জেলায় ১ টি সরকারি মেডিকেল কলেজ (শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ)

এ জেলায় অনেকগুলো নদী রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো করতোয়া নদী এবং বাঙ্গালী নদী। 

জেলার প্রধান কৃষি পণ্য গুলো হলো ধান, পাট, আলু, মরিচ, গম, সরিষা, ভুট্টা, কলা সবজি, আখ ইত্যাদি।


চিত্তাকর্ষক স্থান

মহাস্থানগড়

গোকুল মেধ (বেহুলার বাসরঘর)

ভাসু বিহার

শীলাদেবীর ঘাট

গোবিন্দভিটা

খোদায় পাথর ভিটা 

রাজা পরশুরামের প্রাসাদ

জীয়ত কুণ্ড

শাহ সুলতান বলখি (রহ.) এর মাজার

মহাস্থানগড় যাদুঘর

যোগীর ভবণ

‍‍‌ বিহার ধাপ

মোহাম্মদ আলীর প্রাসাদ

ভীমের জাঙ্গাল

খেরুয়া মসজিদ

নবাব বাড়ি (সাবেক নীল কুঠির)

বিজয়াঙ্গন যাদুঘর, বগুড়া সেনানিবাস, শাজাহানপুর (মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক)

শহীদ চান্দু ক্রিকেট স্টেডিয়াম,

পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, শেরপুর,

বাংলাদেশ মশলা গবেষণা কেন্দ্র, শিবগঞ্জ

মম-ইন (Momo Inn), ঠেঙ্গামারা, বগুড়া সদর

হোটেল নাজ গার্ডেন, ছিলিমপুর, বগুড়া সদর

পর্যটন মোটেল, বনানী, বগুড়া সদর

ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক, বগুড়া সদর

মম-ইন ইকো পার্ক, ঠেঙ্গামারা, বগুড়া সদর

রানার প্লাজা (শপিংমল), বগুড়া সদর।


বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব

মেজর জিয়াউর রহমান (১৯৩৬-১৯৮১) প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট

প্রফুল্ল চাকী (১৮৮৮-১৯০৮), ব্রিটিশ বিরোধী আন্দলনের নেতা

মোহাম্মদ আলী (মৃত্যু ১৯৬৯), পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী

খাদেমুল বাশার (১৯৩৫-১৯৭৬), বীর উত্তম, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার এবং বিমান বাহিনী প্রধান

আখতারুজ্জামান ইলিয়াস (১৯৪৩-১৯৯৭), সাহিত্যিক ও গল্পকার

মহাদেব সাহা, সাহিত্যিক

মাহফুজুর রহমান, চেয়ারম্যান, এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজ

গাজিউল হক (১৯২৯-২০০৯), ভাষা সৈনিক

এম. আর. আখতার মুকুল, (১৯২৯-২০০৪), লেখক এবং সাংবাদিক

মুশফিকুর রহিম, জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়

শফিউল ইসলাম সুহাস- জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়

অপু বিশ্বাস, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী

তরুণ মজুমদার, চিত্রপরিচালক

হোসনে আরা বেগম, নির্বাহী পরিচালক, ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ

আলী আকবর, উপাচার্য, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

আবু সাইয়ীদ, চলচ্চিত্র পরিচালক

মাহমুদুর রহমান মান্না, রাজনীতিবিদ

ঋতু মণি, নারী ক্রিকেটার


Comments (0)

Share

Share this post with others